ঢাকা, ৩১ মে ২০২১ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া এনজিওতে ভরে গেছে। হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারন জনগনের লাখ লাখ টাকা। আর আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে ভুয়া এনজিও আপস-এর মালিক প্রতারক ধান্ধাবাজ ছালেকের মত ব্যাক্তিরা।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ‘আমাদের এই শিবগঞ্জ উপজেলায় মোট ৪২টি এনজিও তালিকাভুক্ত আছে। এর বাইরে যত এনজিও আছে সবগুলোই অবৈধ। অনেকগুলো অবৈধ এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলোর বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে’। এ ছাড়া আরো অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছে। আপনাদের এই তালিকাভুক্ত ৪২টি এনজিওর মধ্যে আপস নামে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় তালিকাভুক্ত ৪২টি এনজিও‘র মধ্যে আপস নামে কোন সংস্থা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় বিনোদপুর বাজারে আপস নামে একটি ভুয়া এনজিও জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জয়েন্ট স্টক `আপস বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ নামে সংস্থার রেজিষ্ট্রেশন দেয়। যাহার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার জে.এস.সি ঢাকা সি-১৬৫৪৮৬। এই সংগঠনটি রেজিস্ট্রেশন হওয়ার সময় জয়েন্ট স্টকে উল্লেখ করা হয়েছিল এটি একটি সেবামূলক, স্বেচ্ছাসেবী, অ-রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে।
পরবর্তীতে অন্য এলাকার সুচতুর, ধান্ধাবাজ, ধুরন্ধর ব্যক্তি আবু সালেক ওরফে ছালেক এই এলাকার মোঃ এখলাসুর রহমানের বড় মেয়েকে বিয়ে করে বিনোদপুরে প্রতারনার কাজের জন্য আস্তানা গড়ে তুলে। বিনোদপুরে এসে ছালেক খোঁজ পায় ‘আপস বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ নামে একটু সংস্থার। তখন এই সংস্থাটি অন্য ব্যক্তির নামে রেজিষ্ট্রেশন ছিল। এরপর মৃত নওশাদ আলী ছেলে ছালেক কৌশলে টাকার বিনিময়ে বিধিবহির্ভুত ভাবে ‘আপস বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ নামের সংস্থাটি নিজের নামে করিয়ে নেয়। এরপরই ছালেক এই ‘আপস’ নামক সংগঠনটি অবৈধ ভাবে উচ্চ চড়া সুদে মানুষকে ঋণ দেওয়া শুরু করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
জয়েন্ট স্টক থেকে কোন সংস্থা রেজিষ্ট্রেশন পেলে সে সংস্থাটি কোন রকমেই অন্যের নামে ট্রানস্ফার (বদলী) করার করার কোন নিয়ম নাই। তাহলে ‘আপস বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ ছালেকের নামে বদলী হলো কি ভাবে?
এ ছাড়া জয়েন্ট স্টক থেকে রেজিষ্ট্রেশনকৃত কোন সংস্থাকে ঋণদান কর্মসূচী চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু এই ধুরন্ধর ছালেক কি ভাবে বিনোদপুর এলাকায় ঋণদান কর্মসূচী প্রকাশ্য এবং গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের নজর দেওয়া অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ভুয়া এনজিও আপোসের কর্ণধার ধুরন্ধর ছালেক টাকার বিনিময়ে স্থানীয় মাস্তানদের হাতে রেখে এই ভুয়া এনজিওর নামে বিভিন্নভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ভুয়া এনজিও আপসের মালিক ছালেক যাতে জনগনের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে গা ঢাকা দিতে না পারে, তার ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন, থানা কর্তৃপক্ষ এবং র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
Leave a Reply